শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১৬

কিভাবে Professional Blogger Template তৈরি করবেন?


যে কোন পার্সনাল কিংবা ব্যবসায়িক ব্লগের জন্য Google Blogger হচ্ছে ভালমানের একটি প্লাটফর্ম। কোন প্রকার সমস্যার কথা চিন্তা না করে অনায়াসে ব্লগার দিয়ে ব্লগিং চালিয়ে যেতে পারেন। একটি ভালমানের হোস্টিং কোম্পানি যে সব নিশ্চয়তা দিতে পারে না, গুগল ব্লগার অনায়াসে সে সব নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম। কাজেই কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই আপনার ইচ্ছামত স্বাধীনভাবে ব্লগার ব্লগ দিয়ে ব্লগিং চালিয়ে যেতে পারেন।
কিভাবে Professional Blogger Template তৈরি করবেন?
গুগল ব্লগারের সবচেয়ে ভাল সুবিধা হচ্ছে ব্লগ তৈরি করার জন্য ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে তেমন কোন অভীজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। কোন প্রকার ওয়েব কোডিং জ্ঞান ছাড়াও মাত্র কয়েক ধাপ অনুসরণ করে একটি ব্লগ তৈরি করে নেয়া যায়। অধীকন্তু আর বড় সুবিধা হচ্ছে যে, কেউ যদি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে অভীজ্ঞতা সম্পন্ন হন তাহলে টেমপ্লেট কাষ্টমাইজ করে ইচ্ছামত ডিজাইন করা যায়। গুগল ব্লগার টিম টেমপ্লেট কাষ্টমাইজ করার ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতার মধ্যে আবদ্ধ করে দেয়নি। কাজেই আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে অভীজ্ঞতা সম্পন্ন হন তাহলে যে কোন ধরনের প্রফেশনাল ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।

মূল বিষয়ঃ মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে আর কিছু কথা বলে নেই। আমাদের পোষ্টের হেডিং দেখেই বুঝতে পারছেন যে, বিষয়টি অনেক বড় হবে। সে জন্য আমরা এটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে Series আকারে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করব। এতেকরে আপনাদের সবগুলি বিষয় বুঝতে সুবিধা হবে। কারণ আমরা চাচ্ছি আমাদের এই পোষ্টগুলির মাধ্যমে যাতে আপনি নিজে নিজেই একটি প্রফেশনাল মানের পরিপূর্ণ ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন। আমাদের সাথে থাকলে আশা করছি আপনি নিজেই আপনার পছন্দমত ভালমানের ব্লগ তৈরী করতে পারবেন।
সিরিজে যা যা থাকছেঃ পুরো বিষয়টিকে আমরা ০৩ টি সিরিজে ভাগ করে শেয়ার করব। প্রত্যেকটি সিরিজ আলাদা আলাদাভাবে কয়েকটি পোষ্টের সমন্বয়ে হবে। সিরিজগুলিতে যা যা থাকছে তার সংক্ষিপ্ত টপিক দেখুন।
  1. প্রফেশনাল ব্লগার টেমপ্লেট ডিজাইন।
  2. ব্লগার টেমপ্লেট Responsive/Mobile Friendly করা।
  3. পুরো টেমপ্লেট-কে SEO Friendly করা।
আজকের বিষয়ঃ আজ আপনাদের দেখাব টেমপ্লেট কাষ্টমাইজ করার জন্য কি ধরনের ডিফল্ট টেমপ্লেট বেছে নেবেন।
  • প্রথমে Gmail ID দিয়ে গুগল ব্লগারে লগইন করুন। কিভাবে লগইন করবেন এ সম্পর্কে আপনার ধরনা না থাকলে এখান থেকে বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন।
  • তারপর ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে Template এ ক্লিক করলে অনেক ধরনের টেমপ্লেট দেখতে পাবেন। সেখান থকে Simple Template এর ২য়টি সিলেক্ট করে Apply করুন। ব্লগার টেমপ্লেট কাষ্টমাইজ করার ক্ষেত্রে Simple Template সবচাইতে উপযুক্ত।
  • এখন Template > Customize > Adjust Width এ ক্লিক করুন এবং নিচের চিত্রের মত মেইন ব্লগ 1000 এবং সাইডবার 300 সিলেক্ট করুন।
কিভাবে Professional Blogger Template তৈরি করবেন?
  • তারপর Advanced > Background > Outer Background হতে আপনার পছন্দমত যে কোন একটি কালার নির্বাচন করুন। এটি হচ্ছে ব্লগার টেমপ্লেটের Body Background এর কালার। কিভাবে করবেন তা নিচের চিত্রে দেখুন-
কিভাবে Professional Blogger Template তৈরি করবেন?
  • তারপর Back to Blogger এ ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন।
শেষ কথাঃ আসলে আজ আমরা টেমপ্লেট ডিজাইন করার কোন বিষয় নিয়ে লিখতে চাইনি। শুধুমাত্র সিরিজের বিষয়গুলি সম্পর্কে ধারনা দিতে চেয়েছি। পরবর্তী পোষ্টের সুবিধার্তে ছোট একটি ধাপ শেয়ার করেছি। আমাদের পরবর্তী পোষ্টে শেয়ার করব কিভাবে ব্লগার টেমপ্লেট এর Main-Wrapper অর্থাৎ Body Section কে প্রফেশনাল রূপ দেবেন।

না বুঝে কোরঅান পড়ার ফলে কি অবস্থা দেখুন!!!


সহজে চাকরি পাওয়ার ১০ টি উপায়

পড়ালেখা শেষ, পেশাদারি জীবন শুরু করার সময়। চাই একটা চাকরি, ভীষণ দরকার। কিন্তু ভাগ্যটা কেন যেন ‘ক্লিক’ করছে না! একেই চাকরি পাওয়া দুষ্কর, সাথে আবার আরেক সমস্যা-মনমতো চাকরি তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। চাইলেই তো যেনতেন একটা চাকরি শুরু করে দেওয়া যায় না। আগে একটা ব্যাপার ঠিকঠাক বুঝতে হবে আপনার, চাকরিটা ঠিকমতো খুঁজছেন তো? চাকরি খোঁজারও কায়দাকানুন আছে। ওয়ান্ডার লিস্টে চাকরি খুঁজে পাওয়ার ১০টি বুদ্ধি বাতলে দেওয়া হয়েছে; দেখুন তো আপনার কেমন কাজে লাগে!
4-3-4 চাকরি খুঁজে পাওয়ার ১০টি সহজ উপায়
১. সময় নিন
তাড়াহুড়া করে অনেক কিছু পাওয়া গেলেও মনমতো চাকরি পাওয়ার কথা না। হুট করে পাওয়া চাকরি বরং আপনার ঘাড়ে এক ভূতের মতোই চেপে বসতে পারে। কাজেই ঠিকমতো সময় নিন, ধীরেসুস্থে চাকরি খুঁজুন, তাড়াহুড়ার কিছু নেই।
২. নিজের ইচ্ছা বুঝুন
কেউ একটা চাকরি দেওয়ার কথা বলল, কিংবা হঠাৎ করে একটা জায়গা থেকে প্রস্তাব পেলেন-তাহলেই কি চাকরিতে ঢুকে পড়বেন? না বুঝে চাকরিতে ঢুকলে কিন্তু সেটা আপনার জন্য পরে সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। এরচে বোঝার চেষ্টা করুন যে আপনি কি চান, কি করতে চান আর নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চান।
৩. ভালো জীবনবৃত্তান্ত লেখা শিখুন
একটি ভালো জীবনবৃত্তান্তের ওপর ভর করে আপনি কিন্তু আপনার পছন্দের চাকরিটি পেয়ে যেতে পারেন। আপনার চেহারা দেখে নয়, বরং কর্মদক্ষতা আর যোগ্যতা দেখেই নিয়োগ করা হবে কোনো না কোনো চাকরিতে। কাজেই সেটা আগে ভালোমতো লেখা শিখুন। দরকারে অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন, কয়েকটা সাইট বা ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে জেনে নিন ভালো জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি লেখার কায়দা।
৪. জব সাইট
জব সাইটে নিয়মিত খোঁজখবর নিন। কোন কোন জব সাইট আপনার জন্য দরকারি, সেগুলো চিহ্নিত করে ফেলুন। সেখানে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে দেরি করবেন না। সুযোগ পেতে দেরি হবে না।
৫. সঠিক কাজে নজর দিন
কোন কাজের জন্য আপনি উপযোগী, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। নিজের প্রতিষ্ঠানে একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী হয়ে ওঠার জন্য এটা বোঝা খুবই দরকারি। সেখানে আপনার ক্যারিয়ার কতদূর এগোতে পারে, সেটা বোঝাও দরকারি।
৬. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক
সহজ করে বলাই ভালো। ঠিকমতো ফেসবুক ব্যবহার করতে জানলে বন্ধুবান্ধবই কেবল নয়, স্বপ্নের চাকরিটি পেয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়; বরং খুবই সম্ভব। সেই সাথে লিংকড-ইনের মতো প্রোফেশনাল সামাজিক মাধ্যমগুলোয় অ্যাকাউন্ট রাখাও জরুরি।
৭. নিজের গণ্ডির মধ্যে সচল থাকুন
পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ নিয়মিত বজায় রাখুন। হোক তা কারণে বা অকারণে! দরকারের সময় দেখবেন, পরিচিতদের রেফারেন্স চাকরি পাওয়ায় কতটা উপকারী হতে পারে।
৮. বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ
বিভিন্ন পেশার, বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজনের সাথে যোগাযোগ তৈরি করুন। এতে সম্পর্কের পাশাপাশি আপনার নিজেরও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সঠিক চাকরিটি খুঁজে পাওয়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৯. সাক্ষাৎকার
যেমন চাকরি, তেমন বুঝে নিজেকে প্রস্তুত করুন। কোন সাক্ষাৎকারে একেবারে ধোপদুরস্ত হয়ে ব্যাকরণ মেনে কথা বলতে হবে আর কোথায় ক্যাজুয়াল আউটফিটে টানা আলাপে দেন-দরবার করতে হবে; সেটা কিন্তু না বুঝলেই নয়!
১০. আপ টু ডেট থাকুন
যেখানে যেখানে অ্যাপ্লাই করেছেন, সেখানে খোঁজখবর রাখুন। খোঁজ নিন নতুন কিছুর জন্যও। না হলে কিন্তু হয়ে যাওয়া চাকরিটাও ফসকে যেতে পারে।

ফেসবুকে লগ অাউট করতে ভূলে গেলে যা করতে হবে

ফেসবুক এখনকার সময়ে অত্যন্ত জরুরী একটা মাধ্যম। যখন তখন কাজ পড়ে যায় ফেসবুকে। অথকা প্রেমিক বা প্রেমিকা কিংবা জরুরী কোন কাজে কোন বন্ধুর সাথে কথা বলতে হয়। তবে ধরুণ, আপনার স্মার্টফোন নেই। কিংবা আছে কিন্তু এন্টারনেট ডাটা শেষ। কিন্তু এই মুহুর্তে আপনার ফেসবুকটা লগইন করতেই হবে! তাহলে কি উপায়?
কি আর করা? এমন পরিস্থিতিতে হয় তো কোন সাইবারক্যাফে অথবা কোন বন্ধুর মোবাই বা পিসিকেই বেছে নিবেন।
best_ways_to_effectively_find_people_on_facebook ফেসবুকে লগ আউট করতে ভুলে গেলে কি করবেন?
আর সেখান থেকেই সারবেন দরকারি কাজ। কিন্তু যাঃ, তাড়াহুড়োয় বেরোনোর সময় লগআউট করতেই ভুলে গিয়েছেন! বা লোডশেডিং হয়ে গিয়েছে! ফলে লগ-আউটটা আর করা হয়নি! এবার সেই মেশিন থেকে যে যখন ফেসবুকে বসবেন আপনার প্রোফাইলের সব দেখে ফেলবেন তো! এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে জানেন কী করবেন?
১। যে কোনও মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ফের লগ-ইন করুন। ২। এবার মেইন মেনুতে যান। ৩। সেখানে সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন। ৪। এবার সেখানে সিকিউরিটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করুন।
৫। এবার সেখানে আপনি অনেক অপশন দেখতে পাবেন। ‘WHERE YOU’RE LOGGED IN’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। ৬। এবার সেখানে Edit বাটনে ক্লিক করুন। ৭। এর আগে কোথা থেকে আপনি লগ-ইন করেছিলেন সেটা দেখতে পাবেন।
৮। এবার সেই অপশনে গিয়ে লগ-আউট বাটন প্রেস করুন। ৯। এর আগে আপনি ভুলবশত যেখান যেখান থেকে লগ-আউট করেননি, সব জায়গা থেকেই লগ-আউট হয়ে যাবেন।

যে কারনে স্মার্টফোন গরম হয়

আজকাল প্রায় সবধরনের ফোন এ, সে ফোন Android হোক আর Apple হোক আর উইন্ডোজ ফোন হোক কিংবা সস্তা বা দামী। একটি সমস্যা কিন্তু লেগেই থাকে, তা হলো অত্তাধিক গরম হওয়া। আপনার ফোন এর সাথে যদি এমনই কোনো সমস্যা ঘটে থাকে তবে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আজ আমি বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করবো, যেমনঃ কেনো স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়? স্মার্টফোন গরম হওয়াটা কি স্বাভাবিক? এবং অত্তাধিক গরম হওয়া থেকে আপনার স্মার্টফোনটিকে কীভাবে রক্ষা করবেন?

স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়ার কারন সমূহ

দেখুন যদি গরম হওয়ার কথা বলি তবে বলতেই হয় যে প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি বা মেশিন ই গরম হয়। উদাহরণ সরূপ আপনার গাড়ি, কম্পিউটার ইত্যাদি সব কিছুই গরম হওয়া থেকে বিরত নয়।গাড়ি ঠাণ্ডা রাখতে পানি ঢালা হয়, কম্পিউটার ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যান ব্যবহার করা হয় তাছাড়া এর ভেতর HeatSheild থাকে। তো আসলে বলতে পারেন স্বাভাবিক ভাবে স্মার্টফোন একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র হওয়ার কারনে এটি গরম হয়। তারপরও আমি আপনাদের সব কিছু খুলে বলবো। তো চলুন জেনে নেয় স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়ার কারন সমূহ।
  • প্রসেসরঃ স্মার্টফোন গরম হওয়ার জন্য প্রথম যে দায়ী তা হলো প্রসেসর। প্রসেসর আপনার ফোন এর প্রধান অঙ্গ সরূপ। যে আপনার ফোন এর প্রতিটি কাজ করে থাকে। আপনি ফোন ব্যবহার করেন আর নাই বা করেন প্রসেসর কিন্তু সবসময় চলতে থাকে এবং তার কাজ করতে থাকে। আর এই প্রসেসর নির্মাণ করা হয় অর্ধপরিবাহী পদার্থ দিয়ে। এবং এর ভেতর অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র  ইলেকট্রন থাকে। যখন প্রসেসর তার কাজ করে তখন এই ইলেকট্রন গুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে (সহজ ভাষায়)। এবং এই দৌড়াদৌড়ি করার সময় ইলেকট্রন গুলো নিজেদের ভেতর সংঘর্ষ ঘটায় এবং তাপ উৎপাদন করে। অর্থাৎ আপনার প্রসেসর যত বেশি কাজ করে তাপ ও ততো বেশি উৎপাদন হয়। আপনি যদি কম কাজ করেন, যেমন ধরুন শুধু ফোন এ কথা বলছেন, কিংবা মিউজিক শুনছেন তবে আপনার ফোনটি কম গরম হবে। কিন্তু মনে করেন আপনি গেম খেলছেন এবং একসাথে ইন্টারনেট থেকে কোনো ফাইল ও ডাউনলোড করছেন, তবে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ফোন এর প্রসেসর কে বেশি কাজ করতে হবে এবং যার ফলে বেশি গরম হবে আপনার স্মার্টফোনটি। আজকাল কার স্মার্টফোন গুলো দিন এর পর দিন চিকন হয়ে যাচ্ছে। এখন প্রসেসর এর দ্বারা উৎপন্ন তাপ আপনার ফোনটি চিকন হওয়ার কারনে বের হতে পারে না। এবং লক্ষ করলে দেখা যাবে যে আপনার ফোন এর প্রসেসরটি ফোন বডির সাথেই লেগে থাকে, যার ফলে খুব তারাতারি এবং অত্যাধিক গরম অনুভূত হয়।
  • অত্যাধিক লোডঃ আমি আগেই বলেছি অত্যাধিক লোড ফেললে আপনার ফোনটি দ্রুত এবং বেশি গরম হবে। স্বাভাবিক কাজ যেমন ফোন এ কথা বলা, এসএমএস সেন্ড করা বা গান শোনার মত ছোট কাজ এ কম গরম হবে আপনার ফোনটি। কিন্তু আপনি যখন অনেক গুলো কাজ এক সাথে করবেন বা কোনো বড় কাজ করবেন তখন আপনার ফোনটি অত্যাধিক লোড এর সম্মক্ষিন হবে এবং স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হবে।
  • ব্যাটারিঃ স্মার্টফোন গুলো দিনদিন চিকন হয়েই চলছে। কিন্তু ব্যাটারি প্রযুক্তিতে তেমন একটা বিশেষ উন্নতি আনা হচ্ছে না। তারপর ফোনটি অনেক চিকন হওয়ার কারনে  যন্ত্রপাতি গুলোর একে অপরের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব থাকে না। ব্যাটারি চার্জ বা ডিসচার্জ হওয়ার সময় কম বেশি গরম হয়েই থাকে। আর যন্ত্রপাতি গুলোর একে অপরের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব না থাকার ফলে এই ব্যাটারির গরম সব দিকে ছড়িয়ে পরে এবং আপনার স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে পরে।
  • পরিবেষ্টিত তাপমাত্রাঃ স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম, হওয়ার আরেকটি বড় কারন কিন্তু পরিবেষ্টিত তাপমাত্রা হতে পারে। সাধারন ভাবে গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ৩৫-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে যায়। এই পরিবেশে আপনি ঘরে বসে থাকলেও আপনার আসেপাশের তাপমান থাকে প্রায় ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই তাপমান এর ভেতর আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করলে এটি আরো তাড়াতাড়ি গরম হয়ে পরবে।
  • দুর্বল নেটওয়ার্ক সিগনালঃ মনে করুন আপনি এমন এক জায়গায় আছেন, যেখানে নেটওয়ার্ক সিগনাল খুব দুর্বল। অথবা আপনার ওয়াইফাই সিগনাল অনেক কষ্টে আপনার স্মার্টফোন অবধি আসছে। এই অবস্থায় আপনার স্মার্টফোন এ বেশি চার্জ খরচ হয়। দুর্বল নেটওয়ার্ক সিগনাল পাওয়ার জন্য আপনার ফোনটি অ্যান্টেনাতে বেশি পাওয়ার প্রয়োগ করে, যাতে ফোনটি ভালো সিগনাল ধরতে পারে। এতে স্মার্টফোনটির প্রসেসরকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এবং স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে পরে।

কতটা গরম হওয়া স্বাভাবিক এবং কতটা গরম হওয়া অস্বাভাবিক

এখন চলুন কথা বলি স্মার্টফোন স্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক গরম হওয়া নিয়ে। স্বাভাবিক অবস্থায় কাজ করতে করতে আপনার স্মার্টফোনটি ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হতে পারে। আর বিশ্বাস করুন এটা শুধু আপনার ফোন এর ক্ষেত্রে না, বরং সবারই গরম হয়। আপনার ফোনটি কম দামী বলেই যে বেশি গরম হচ্ছে, তা কিন্তু মতেও ঠিক নয়। স্যামসাঙ বলুন আর অ্যাপেল, সব ফোনই কিন্তু গরম হয়।
তবে হাঁ, আপনি যদি লক্ষ্য করে দেখেন যে আপনার ফোনটি সবসময়ই ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম থাকছে। এমন কি যখন আপনার ফোনটি স্ট্যান্ড-বাই মোড এ থাকে তখনও, তবে আপনার ফোন এ সমস্যা আছে।

স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়াতে কি কি অসুবিধা হতে পারে?

কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়াঃ স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়াতে আপনার ফোন এর কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। দেখুন স্মার্টফোন এর প্রসেসরকে এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে এটি বেশি গরম হয়ে পরলে কাজ করা কমিয়ে দেয়, যাতে এটি ঠাণ্ডা হতে পারে। আর প্রসেসর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করা কমিয়ে ফেলার জন্য আপনার স্মার্টফোন এর কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

অত্যাধিক গরম হওয়া থেকে স্মার্টফোনকে কীভাবে রক্ষা করবেন

স্মার্টফোনে বেশি কাজ করা যাবে না বা বেশি গেম খেলা যাবে না, আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। অত্যাধিক গরম হওয়া থেকে স্মার্টফোনকে বাচাতে চাইলে আপনার ফোন এর সফটওয়্যার গুলো কে আপডেট রাখুন। অনেক সময় ফোন এর সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার সমকক্ষতা রাখতে বার্থ হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। নিয়মিত অনুসন্ধান করে দেখুন যে কোন কোন অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ড এ বেশি জায়গা নিচ্ছে। সে অ্যাপস গুলো সনাক্ত করে অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে রাখুন।

উপসংহারঃ

আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনারা খুব উপভোগ করেছেন। আপনাদের কাছে যদি স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হওয়ার আরো কোনো কারন থাকে কিংবা কীভাবে অত্যাধিক গরম হওয়া থেকে স্মার্টফোনকে কীভাবে রক্ষ্যা করা যায় যে বিষয়ে আরো ধারণা থাকে তবে কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন। তাছাড়া পোস্টটি ভালো লাগলে আমার ছোট্ট প্রযুক্তি ব্লগ টি

মোবাইল কেনার অাগে যেসব বিষয় জানা দরকার

“বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম”। আশাকরি মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার রহমতে সকলেই পড়িবার ও প্রতিবেশীদের নিয়ে ভালো আছেন। ভালো থাকুন,ভালো থাকার চেষ্টা করুন প্রতিমুহূর্ত এই আশাই করি। চলুন এবার মূল বিষয়ে প্রবেশ করা যাক। আজ আমরা দেখবো কিভাবে আপনি দোকান থেকে একটি মোবাইল ক্রয় করার সময় তার মান,সম্মান,ইজ্জত ;) আপনার মোবাইল কেনার সময় লক্ষ্য করুন (প্রয়োজনীয় টিপস) পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। তবে চলুন শুরু করিঃ- 

ডিসপ্লেঃ-

আপনি হয়তো আপনার বন্ধু বা অন্য কারো মোবাইলে লক্ষ্য করেছেন যে তাদের অনেকের মোবাইলে হাই রেজুলেসন ও পিকচেলের ছবি দেখচ্ছে না? কেন দেখচ্ছে না? উত্তর সিম্পল। কারণ হচ্ছে তাদের ডিসপ্লে ছোট বা সেই পিকচার দেখানোর মতন ক্ষমতা সেই মোবাইলের নেই। এখন আপনি আমাকে বলুন আপনি কি চান যে আপনার মোবাইলে ১৬০০X১২০০ সাইজের একটি পিকচার দেখতে যেয়েই চুল ছিড়তে হয়? অবশ্যই না। যেখানে অন্যরা এতো বড়, বড় সাইজের, রেজুলেসন এর পিকচার দেখে নিচ্ছে সেখানে আপনি কেন না বুঝে মোবাইল কিনে বোকার মতো বসে থাকবেন?
তাই ষ্টোর এর মাঝে থাকা কম্পিউটার থেকে হাই রেজুলেসন এর একি পিকচার নামিয়ে তা মোবাইল দিকে দেখুন। যদি পরিষ্কার ভাবে দেখায় তবে পারফেক্ট। অতঃপর লক্ষ্য করুন পিকচারের “রঙ, ব্রাইটনেস” ঠিক আছে কিনা। এবার আপনার মোবাইলের ব্রাউজার বা নোট ওপেন করুন। এবং সেখানে কিছু টাইপ করে দেখুন যে মোবাইলের ফন্ট বা লেখার আকৃতি কিরকম। পরিষ্কার নাকি ঝাপসা?

টাচস্ক্রীনঃ-

জনপ্রিয়তার মাঝে এখন বর্তমানে শীর্ষে আছি টাচ! মানুষ এখন আর বেশি কষ্ট করতে চায় না, তারা কিপ্যাড এর মাঝে বাটন চেপে সময় নষ্ট করার মাঝে নেই। সবাই এখন চায় যে টাচ দিলেই কাজ হয়ে যায়। আর সেই টাচই যদি আপনার নষ্ট বা খারাপ থাকে তবে চিন্তা করুন কিরকম একটি ঝামেলা হবে না?? তবে চলুন দেখি কিভাবে টাচস্ক্রীন টা ৯০% সঠিক ভাবে পরীক্ষা করে নিতে পারি আমরা মোবাইল কিনার সময়ঃ
আপনার কিনতে যাওয়া মোবাইল থেকে মেসেজ বা নোটপ্যাড ওপেন করুন। এবার আপনি কিছু কথা চিন্তা করে নিন যা ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের মাঝে আপনি টাইপ করতে পারবেন এবং উক্ত মোবাইলটি দ্বারা সম্ভব। এবার স্টার্ট বলে টাইপ শুরু করে দিন। সময় শেষ হলে থেমে যান। কি বুঝলেন? সঠিক ভাবে মোবাইলটিতে সব কিছু টাইপ হয়েছে তো? যদি হয়ে থাকে তবে অতান্ত ভালো, আপনার টাচ ঠিক আছে সঠিক ভাবে। আর যদি টাইপ সঠিক ভাবে না হয়ে থাকে? তবে চিন্তা করুন আপনি কি টাইপ করতে মিস্টেক করেছিলেন? বা লাইন থেকে বেলাইনে যেয়ে টাইপ করতেছিলেন? না? তবে আর কি, আমরা বলতেই পারি যে টাচস্ক্রীন এর মাঝে সমস্যা রয়েছে।

ক্যামেরাঃ-

এটি দিয়ে আপনি কি করেন, বা করবেন তা নাহয় আর নাই বললাম! চলুন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রবেশ করা যাকঃ- আপনার মোবাইলটির ক্যামেরা দিয়ে কিছু পিকচার তুলুন। আর হ্যাঁ অবশ্যই ফুল সাইজে তুলবেন এবং কালার ঠিক করে নেবেন অপশন থেকে। এবার আপনার কাজ হচ্ছে পিকচার গুলো অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মতন আপনার চোঁখ দিয়ে খুঁটিয়ে,খুঁটিয়ে দেখা। কি দেখেলন? পিকচার গুলো পরিষ্কার আর রঙ ঠিক আছে তো? তবে আপনার যখন তাই মনে হয়েছে তবে এখানে আর বাধা দেবার কিছু নেই। পারফেক্ট আপনি নিতে পারেন।
এবার চলুন ভিডিও দেখা যাক। কিছু ভিডিও তুলুন এবং দেখুন সব ঠিক আছে কিনা! যদি ঠিক থাকে তবে আপনার মোবাইলের ক্যামেরা পারফেক্ট আছে বলে আপনি ধরে নিতে পারেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই পিকচেল দেখে নিবেন যে সঠিক আছে কিনা। অনেকে ৬/৭ মেগা পিকচেল লিখে রাখে কিন্তু বাস্তবে তা থাকে না।

ডিজাইনঃ-

আপনি যদি কিছু কিনতে যান তবে তার বাহিরেরটাই আগে লক্ষ্য করেন। যদি ভেতরে থাকে পরিষ্কার কিন্তু বাহিরে নোংরা প্রকিতির তবে ৯৯.৯৯% সময়ে আপনি তা নেবেন না। কারণ আপনি তার কাছেই ঘেষবেন না কখনো। তাই প্রয়োজন একটি সুন্দর ও সঠিক ডিজাইন দেখে মোবাইল কিনার। এখানে শুধু মাত্র বাহিরের সুন্দরের জন্য নয় এখানে একটি মোবাইল কিনার সময় ডিজাইন দেখা দরকার এই কারণে যেঃ সেটি আপনার ব্যাগ বা পকেটে আটবে কিনা। হাল যুগের সাথে তাল মিলায় কিনা। আপনার স্টাইল এর সাথে আপনার মোবাইলটি যায় কিনা ইত্যাদি দেখে।
কারণ ষ্টোর এ যেয়ে লাফ-ঝাফ দিয়ে একটি কিনে ফেললেই তো আর হলো না, কারণ যেটি কিনছেন সেটি আপনার সব সময়কার সঙ্গী। তাই যা কিনবেন বুঝে-শুনে।

ক্ষমতাঃ-

তাক ধিনা ধিন করে একটি মোবাইল কিনে নিয়ে আসলেন সব দেখে! কিন্তু এসে দেখলেন এর কার্যক্ষমতা এই গেলো, এই গেলোরে মার্কা তবে কেমন লাগবে? তাই মোবাইল কিনার সময় এর সকল রিসিট , ওরেন্টি, গ্যারান্টি , ব্যাটারির চার্জ কতক্ষণ থাকবে সব দেখে কিনতে হবে।।

নেটওয়ার্কঃ-

আপনিই বলুন মাকাল ফল কিনে লাভ আছে? ফলটির বাহিরের সব কিছুতেই চাকচিক্য আছে বুঝতে পারলাম, দেখতেও সুন্দর। তবে ফল মানুষ মূলত কিসের জন্য কিনে? অবশ্যই খাবার জন্য তাই নয় কি? তাহলে মাকাল ফল কি খাওয়া যায়?? না, খাওয়া যায় না। তবে এর কি কোন মূল্য আছে? নেই এক বিন্দু মূল্য নেই।
ঠিক সেরকমই আপনার মোবাইলটি। নেটওয়ার্ক নেই তো সব শূন্য। আমরা যে এতক্ষণ এতো কিছু দেখলাম তার কোন লাভই হবে না যদি নেটওয়ার্ক না থাকে। তাই এখন আপনাকে দেখতে হবে মোবাইলের ইন্টারনেট , সিম ইত্যাদির নেটওয়ার্ক ঠিক আছে কিনা বা পরবর্তীতে কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে কিনা। ইত্যাদি।

প্রসেসরঃ- 

প্রসেসর ডেম তো সব ডেম!! তাই মোবাইল কিনার সময় প্রসেসর এর কার্যক্ষমতা দেখে নিবেন। চলুন দেখি কিভাবে কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করবোঃ আপনার মোবাইল থেকে একটি ভালো মানের ভিডিও প্লে করুন। যদি ভিডিও টি সুন্দর ভাবে চলতে থাকে এবং কোন সমস্যা না দেখা যায় তবে তা বন্ধ করুন। আর হ্যাঁ অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে “একটি ভিডিও ওপেন হয়ে প্লে হতে কতক্ষণ সময় নেয়” । কারণ এতেই বুঝা যায় যে প্রসেসর এর স্পীড কম নাকি বেশি!!
এবার আপনার মোবাইলে সেটআপ থাকা কিছু এপ্লিকেশন ওপেন করুন এবং ভিডিও ক্যামেরা অন করে ভিডিও করতে থাকুন। যদি প্রসেসর থেমে যায় বা মোবাইল কাজ না করে কিছুক্ষণ অফ হয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে আপনার প্রসেসর সেই রকম ভালো মানের কিছু নয়। তবে হ্যাঁ অবশ্যই আপনি আগে চিন্তা করবেন আপনি এসব কি মোবাইল দ্বারা চেক করছেন? নকিয়া, সেমসাং আইফোন নাকি চায়না মোবাইল? হাঁ হাঁ হাঁ!!

সাউন্ড কোয়ালিটিঃ- 

সাধারণত আমি নিজে মোবাইলে বেশিরভাগ সময় গান, FM ইত্যাদি শুনতে বেশি পছন্দ করে থাকি। আমার ধারণা মতে এটি সবাই পছন্দ করে এবং করে থাকে। তাই একটি মোবাইলের সাউন্ড এর কোয়ালিটি অতান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশ প্রাধান্য পেয়ে থাকে।
আপনার মোবাইলের MP3 প্লেয়ার ওপেন করে গান ছেড়ে দিন ফুল ভলিওম এ এবং হেডফোন দিয়ে চেক করুন যে সাউন্ড শুনতে অন্যরকম লাগছে কিনা। যদি আপনার কাছে ভালো লাগে এবং আসলেই মনে হয় যে ঠিক আছে, তবে আমরাও বলবো ঠিক আছে। তাই আপনি এখন মোবাইলটি নিতে পারেন। :) আপনার মোবাইল কেনার সময় লক্ষ্য করুন (প্রয়োজনীয় টিপস)আজ এই পর্যন্তই!! ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!! এবং পোষ্ট পড়ার পর বেশি বেশি করে মন্তব্য করার চেষ্টা করুন :P আপনার মোবাইল কেনার সময় লক্ষ্য করুন (প্রয়োজনীয় টিপস)

স্মার্টফোনের চার্জ দীর্ঘক্ষন ধরে রাখার উপায়

ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন রকমের অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে। তবে এর বাইরেও স্মার্টফোন ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো মেনে চললে কিছুটা সাশ্রয় করতে পারবেন ব্যাটারির চার্জ। এসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে।
১. ডিসপ্লের ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে ফেলুন
এটা হয়তো অনেকেই জানেন এবং প্রয়োগ করে থাকেন। যাঁরা এখনো এই কাজটা করেন না, তাঁরা ডিসপ্লের ঔজ্জ্বল্য বা ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা শুরু করুন। এ পদ্ধতি ল্যাপটপ, ট্যাবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
২. কালো ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন
smart স্মার্টফোনের চার্জ ধরে রাখুন
অ্যামোলেড স্ক্রিনের ফোনে কালো বা এ ধরনের রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করলে চার্জ কম খরচ হয়। কারণ, অ্যামোলেড স্ক্রিনের আলো খরচ হয় বিভিন্ন রঙের পেছনে। তাই যত রঙিন ওয়ালপেপার দেওয়া হবে, আলোর খরচ বাড়বে, সে সঙ্গে চার্জও খরচ হবে।
৩. লো-পাওয়ার মোড
আপনার ফোনে যদি অ্যানড্রয়েড ৫ দশমিক শূন্য বা এর পরের ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম থাকে, তাহলে আপনার কপাল ভালো। কারণ, ফোনের চার্জ ১৫ শতাংশের কম হলেই এসব অপারেটিং সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লো-পাওয়ার মোড চালু হয়ে যায়। অ্যানড্রয়েড অপারেটিংয়ের মার্শম্যালো ভার্সনে রয়েছে ‘ডোজ’ নামে একটি নতুন ফিচার। স্মার্টফোনের চার্জ কমে গেলে এই ফিচার ফোনটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাইবারনেশন মোডে নিয়ে যায় আর অনেকক্ষণ ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা অ্যাপগুলো বন্ধ করে দেয়।
৪. লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন চালু করুন
স্মার্টফোনের চার্জ বাঁচানোর আরেকটি ভালো বুদ্ধি হচ্ছে লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন চালু করে রাখা। এতে বারবার আপনাকে লক খুলে নোটিফিকিশেন দেখতে হবে না। ফলে চার্জ কম খরচ হবে।
৫. ব্যবহারের পর অ্যাপস বন্ধ করুন
ঠিকমতো বন্ধ না করার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপস চালু থাকে, যেটা অনেকে খেয়াল করেন না। বিশেষ করে জিপিএস ও ওয়াই-ফাইয়ের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটা বেশি ঘটে। আর এ দুটি অ্যাপস চালু থাকলে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায়। তাই কাজ শেষ হওয়ার পর অ্যাপস বন্ধ করুন।
৬. অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেট
অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেটের ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করুন। মোবাইলের ডাটা ব্যবহার করলে চার্জ বেশি খরচ হবে, এ ছাড়া সময়ও যাবে বেশি। সে ক্ষেত্রে দ্রুতগতির ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি অ্যাপসগুলো ডাউনলোড ও আপডেট হয়ে যাবে। মোবাইলের চার্জও কম খরচ হবে।
৭. এয়ারপ্লেন মোড চালু করুন
স্মার্টফোনটি এয়ারপ্লেন মোডে থাকলে সব ধরনের ওয়ার‍লেস ফিচার বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফোনের চার্জ কম খরচ হয়।
৮. আসল ব্যাটারি ব্যবহার করুন
স্মার্টফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে আসল ব্যাটারি ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে আপনার ফোন ভালো থাকবে এবং চার্জও থাকবে অনেকক্ষণ।